shadow

দর্শনা পরিবারের ইতিহাস

সময়ের পরিক্রমায় শিক্ষা ও জীবিকার টানেই মূলত যুগে যুগে দর্শনার বহু অধিবাসী রাজধানী ঢাকাতে পাড়ি জমিয়েছেন। তাদের বেশীর ভাগই মহিমাম্বিত শিক্ষাজীবন শেষে এখন কর্মস্থল হিসাবে ঢাকাতে স্থায়ীভাবে বসত গড়েছেন। অনেকেই আবার ব্যবসা-বানিজ্যে ঢাকাতে এখন সুপরিচিত-সুপ্রতিষ্ঠিত। তাদের কেউ কেউ শিল্প-সাংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে পড়েছেন বা নিজেকে একজন দেশসেরা সাংস্কৃতিক কর্মী হিসাবে গড়ে তুলেছেন এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়।

৮০ ও ৯০ দশকে এরকম কিছু ঢাকাস্থ দর্শনাবাসীদের উদ্যোগে প্রতি বছর বনভোজনের আয়োজন করা হতো। মাঝে পালাক্রমে বিভিন্ন মানুষের বাসায় ভোজন ও আনন্দ উৎসবের ধুম পড়তো।। এরই যোগ সূত্র ধরে ২০০৫ সালে ঢাকাস্থ দর্শনাবাসী বেশ কিছু যুবক ও তরুণ বয়স্কদের সাথে নিয়ে ঢাকাস্হ দর্শনাবাসীদের সংগঠন “দর্শনা কল্যাণ সমিতি” গড়ে তোলার একটি প্রয়াস চালান। সেই প্রয়াসের অংশ হিসাবে ২০০৩ সালের পহেলা বৈশাখে ঢাকাস্থ দর্শনাবাসীর পক্ষ থেকে একটি বিশাল র্যলী বের করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালের ২৫শে ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে একটি পূণর্মিলণীর আয়োজন করা হয়। দর্শনাবাসীর বিশাল ঢল নামে সেই মিলনোৎসবে।। তারপরে বলা যায় অনেকটা থিতিয়েই ছিল ঢাকাস্থ দর্শনাবাসীর সকল কর্মকান্ড ।

২০১৪ সালের মার্চে “দর্শনার গৌরবজ্জ্বল নতুন প্রজন্ম” বই-এর মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠান থেকে পুনরায় ঢাকাস্থ দর্শনাবাসী একটি সংগঠন করার প্রয়াস গ্রহন করে। তারপর দর্শনা কল্যাণ সমিতির সদস্যদের নিয়ে সমন্বয় সভার মাধ্যমে তরুণদের দিয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। যাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঢাকাস্থ দর্শনাবাসীর প্রাণের সংগঠন “দর্শনা পরিবার” এই নামে পুনরায় আত্মপ্রকাশ করে।

২০১৫ সালের ২রা জানুয়ারি প্রায় ৪০০ নিবন্ধিত সদস্যদের নিয়ে ঢাকাস্থ মহাখালির আই,সি,ডি,ডিআর,বি মিলানায়তনে সমিতির একটি বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখান থেকে সমিতি পরিচালনার জন্য পূর্ণ গঠনতন্ত্র অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ৪ঠা এপ্রিল আয়োজিত সম্মেলন-এর মাধ্যমে ২০১৫-২০১৭ বছরের জন্য ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ ও ২০ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়। বর্তমানে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দর্শনা পরিবার তাদের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

“মানুষ তার স্বপ্নের সমান-ই বড়” তাই সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান দর্শনা পরিবার স্বপ্ন দেখে একটি সুখী-সমৃদ্ধি দর্শনার। সবাই মিলে হাতে হাত রেখে ঐক্যের নিশান হাতে সূর্যদয়ের দিকে এগিয়ে যেতে। দর্শনা পরিবারের অপেক্ষাকৃত তরুণেরা যেমন স্বপ্ন দেখে উন্নত শিক্ষা, সুনাগরিক হয়ে ওঠার পাশাপাশি নিজেদের সুনাম ও সাংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ঠিক তেমনি বয়োজোস্ঠরা তাদের পবিত্র উপদেশ এবং দিক নির্দেশনার মাধ্যমে বদ্ধপরিকর “দর্শনা পরিবার” এর স্বপ্ন পূরণে।

দর্শনা পরিবার © কপিরাইট ২০২৪ । কারিগরি সহায়তা : এড্রেস বাজার ডট কম